Wednesday 12 December 2012

“খলীফাতুল উমাম”

 Shobuj Bangla Blog
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আর আমি তাদের মাঝে ১২ জন নক্বীব তথা খলীফা প্রেরণ করেছি।” (সূরা আল মায়িদা: আয়াত শরীফ-১২)
এই আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় তাফসীর ইবনে কাছীরে এসেছে যে, একদা ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতেছিলেন। (যখন তিনি উক্ত আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করলেন) তখন এক ব্যক্তি উনাকে সুওয়াল করলো যে, এই উম্মত তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মাঝে কতজন মহান খলীফা খিলাফত পরিচালনা করবেন? তিনি এর জবাবে বললেন, “আমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এই ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছেন, বনী ইসরাঈলের ১২ জন নক্বীব-এর মতো আমার উম্মতের মাঝে ১২ জন মহান খলীফা উনারা খিলাফত পরিচালনা করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী ৮নং পৃষ্ঠা, মুসনাদে আহমদ, মুসনাদে বাযযার, তাফসীরে ইবনে কাছীর ইত্যাদি)


বিশ্বখ্যাত মুফাসসির, সীরাত লেখক এবং ঐতিহাসিক আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘বিদায়া-নিহায়াতে’ তাওরাত শরীফ-এর উদ্বৃতি টেনে বলেন, তাওরাত শরীফ-এ এসেছে যার অর্থ হচ্ছে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ প্রদান করেন এবং বলেন যে, তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার যারা বংশধর রয়েছেন উনাদের উন্নতি দান করবেন এবং উনাদের মধ্য থেকে ১২ জন ক্বায়িম তথা খলীফা সৃষ্টি করবেন।” অতঃপর তিনি বলেন, তাওরাত শরীফ-এ উল্লেখিত এই ১২ জন মহান ক্বায়িম তথা খলীফা উনারাই হচ্ছেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের ১২ জন মহান খলীফা। সুবহানাল্লাহ! উনারা উম্মতের মাঝে যথা সময়ে প্রকাশিত হবেন।


হাদীছ শরীফ-এ এসেছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, দ্বীন ইসলাম ততোদিন যাবৎ পরাক্রমশালী থাকবে, কুওওয়াতশালী থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ১২ জন মহান খলীফা উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটবে। উনারা প্রত্যেকেই কুরাইশ বংশীয় হবেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে ইসলাম শক্তিশালী থাকবে ১২ জন মহান খলীফা উনাদের মাধ্যমে। উনারা প্রত্যেকেই কুরাইশ বংশীয় হবেন।” (বুখারী- কিতাবুল আহকাম, মুসলিম ২য় জিলদ ১১৯ পৃষ্ঠা, আবূ দাঊদ ২য় জিলদ ৫৮৮ পৃষ্ঠা, তিরমিযী, মিশকাত শরীফ ৫৫০ পৃষ্ঠা, মুসনাদে আহমদ, বাযযার, তারীখুল খুলাফা- ৮, ১০ এবং ৪৬নং পৃষ্ঠা, তিবরানী, জামউল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি, খছাইছুল কুবরা ২য় জিলদ ১৯৪ পৃষ্ঠা, শরহুস সুন্নাহ, মুস্তাদরিকে হাকিম, মুছান্নফে ইবনে আবী শায়বা, দালাইলুন নুবুওয়াহ, ইবনে আসাকির, আবূ আওয়ানা, আবূ ইয়ালা, ইবনে হিব্বান, মাজমাউয যাওয়াইদ, আস সুনানুল ওয়ারিদা বিল ফিতান, বিদায়া-নিহায়া ইত্যাদিসহ প্রায় পৃথিবীর সমস্ত বিশ্বখ্যাত কিতাবসমূহে ১২ খলীফার হাদীছ শরীফসমূহ রয়েছে।)


কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব এবং ইজমা-ক্বিয়াসের অসংখ্য-অগণিত দলীল-আদিল্লাহ দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মাঝে ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে ১২ জন মহান খলীফা উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটবে। উনারা প্রত্যেকেই কুরাইশ বংশীয় হবেন। এই পর্যন্ত ৯ জন মহান খলীফা উনারা অতীত হয়েছেন। উনাদের মধ্যে সর্বশেষ অর্থাৎ ৯ম জন হচ্ছেন ত্রয়োদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি। আরো তিন জন মহান খলীফা উনারা বাকী রয়েছেন। উনাদের মুবারক শানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে তিন জন বিশেষ খলীফা হবেন। উনারা হচ্ছেন- হযরত সাফফাহ আলাইহিস সালাম, হযরত মানছূর আলাইহিস সালাম এবং হযরত মাহদী আলাইহিস সালাম।” (তারীখুল খুলাফা ২০৯ নং পৃষ্ঠা, জামিউল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি, খছাইছুল কুবরা, মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বাইহাক্বী, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ইত্যাদি)


অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে চারজন বিশেষ খলীফা হবেন। উনারা হচ্ছেন হযরত ক্বায়িম আলাইহিস সালাম, হযরত সাফফাহ আলাইহিস সালাম, হযরত মানছূর আলাইহিস সালাম এবং হযরত মাহদী আলাইহিস সালাম।” (জামিউল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি’ ইবনে আসাকির, তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী ২০৯ পৃষ্ঠা ইত্যাদি)
আর এই চার জন বিশেষ খলীফা উনারা হচ্ছেন- হযরত ক্বায়িম আলাইহিস সালাম তথা ত্রয়োদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী আলাইহিস সালাম, হযরত সাফফাহ আলাইহিস সালাম তথা সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ, মুজাদ্দিদ সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, হযরত মানছুর আলাইহিস সালাম তথা খলীফাতুল উমাম, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী আল মানছুর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তথা হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ মাহদী আলাইহিস সালাম। তিনি হচ্ছেন ১২ জন মহান খলীফা উনাদের মধ্যে সর্বশেষ খলীফা।


সুতরাং খলীফাতুল উমাম, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ এবং পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে বর্ণিত ১২ জন মহান খলীফা উনাদের মধ্য থেকে অন্যতম একজন বিশেষ খলীফা। তিনি হচ্ছেন হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত মহান খলীফা হযরত মানছূর আলাইহিস সালাম। উনার মুবারক শানে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আর যিনি মহান খলীফা হযরত মানছূর আলাইহিস সালাম হবেন উনার খিলাফতী নিশানকে কেউ অবনত করতে পারবে না। অর্থাৎ উনার খিলাফতকে কেউ বিনষ্ট করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ। (তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী ২০৯ নং পৃষ্ঠা, জামিউল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি’ ইবনে আসাকির ইত্যাদি)


সেটাই সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ছহিবুল ইলমিল আউয়ালি ওয়াল আখিরী, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আওলাদে রসূল, আবুল খুলাফা আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনার সুযোগ্য আওলাদ, খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, আল মানছূর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শানে ইরশাদ করেন, উনার পরে খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যখন খিলাফতের মসনদে বসে খিলাফত পরিচালনা করতে থাকবেন তখন ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিক এবং মুনাফিক ও উলামায়ে ছু’রা একত্রিত হয়ে তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকে বিনষ্ট করে দিতে চাইবে। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, আল মানছুর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে এত বেমেছাল কুওওয়াত, গায়েবী মদদ ও সাহায্য দ্বারা প্রেরণ করেছেন যে, তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেও খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, আল মানছূর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না; বরং তারা নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ধ্বংস হয়ে যাবে। আর উনার খিলাফতী নিশান বিজয়ী বেশে উড়তেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং খলীফাতুল উমাম, মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, আওলাদে রসূল, আল মানছুর, হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত মহান খলীফা হযরত মানছূর আলাইহিস সালাম। উনার ব্যাপারে আরো হাদীছ শরীফ রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তাওফীক দিলে আমরা তা সময় মতো আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ!


খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, আল মানছূর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তরফ থেকে আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পরে, খলীফাতুল উমাম, আল মানছুর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহি সালাম তিনি যে খিলাফত পরিচালনা করবেন তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একখানা বিশেষ লক্বব মুবারক আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। আর সেই বিশেষ লক্বব মুবারকখানা হচ্ছে “খলীফাতুল উমাম”- এর অর্থ হচ্ছে, উম্মতগণের খলীফা। অর্থাৎ খলীফাতুল উমাম, আল মানছূর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে সমস্ত উম্মতের জন্য, গোটা বিশ্ববাসীর জন্য, পুরো কায়িনাতবাসীর জন্য একজন বিশেষ খলীফা। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক উসীলায় বিশ্ববাসী দুনিয়াতে থেকেই জান্নাতী সুখ-শান্তি উপভোগ করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ!


মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, আল মানছুর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বীভাবে খিদমত করার তাওফীক্ব দান করুন। (আমীন)

http://www.al-ihsan.net

সন্ত্রাসী ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের নিকৃষ্ট দালাল : সউদী ওয়াহাবী বাদশাহদের গোমঁর ফাঁস!

 shobuj bangla blog

বহুদিন যাবত মুসলিম অধ্যূষিত ফিলিস্তিনে ধারাবাহিক গণহত্যা চালাচ্ছে সন্ত্রাসী ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। সর্বশেষ গত নভেম্বর মাস থেকে তারা আরো একধাপ এগিয়ে মুসলিম নিধন অভিযানে নেমেছে। নৃশংস এই গণহত্যা সবার চোখের সামনে ঘটলেও, এর বিরুদ্ধে বলার মত যেন কেউ নেই! বিশেষ করে বিশ্বের সাধারন মুসলিম জনতা যাদেরকে হর্তাকর্তা ভাবে, সেই সউদী ওয়াহাবী সরকার সর্বদাই এই মুসলিম গণহত্যার সময় বোবা শয়তানের মত নিশ্চুপ থাকে। তাদের মৌনতাই যেন আরো জোড়ালো সম্মতি  দেয় সন্ত্রাসী ইহুদীদের নির্বিঘেœ মুসলিম গণহত্যা চালাতে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ এই সউদী আরব যদি সন্ত্রাসী ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে সকল মুসলমানদের এক হয়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলত তবে নিমিষেই তা সম্ভব ছিল। সম্ভব ছিল মুসলিম নির্যাতনকারী সন্ত্রাসী ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয় কাফিরদের সমুচিত জবাব দেয়া।
কিন্তু কেন সউদী আরব তথা সৌদী ওয়াহাবী বাদশাহদের এই কুৎসিত মৌনতা? তাদের শাসকদের আসনেই কে বা কারা বসে রয়েছে? ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের সাথে তাদের কেনই বা এত সখ্যতা? আর কেনই বা তারা ইহুদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না? প্রতিবাদ করে না ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যার? এই প্রশ্নগুলোর জবাব বহু পূর্বেই দিয়েছিলেন ঢাকা রাজারবাগ শরীফ হতে জামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম,আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম। তিনি বহুবার ইরশাদ মুবারক করেছিলেন- ‘বর্তমান সউদী ওয়াহাবী শাসকগোষ্ঠিী হলো কাট্টা লানতপ্রাপ্ত ইয়াহুদীদের বংশধর!”
সুবহানাল্লাহ! উনার সেই মুবারক ভবিষ্যৎবানী অক্ষরে অক্ষরে দিবালোকের ন্যায় প্রকাশিত হচ্ছে বারেবার। অথচ, বিভিন্ন মহল হতে এ বিষয়ে চু-চেরা কিল-কাল করে বলা হয়েছিলো, কি করে সম্ভব! খাদেমুল হারামাইন শরীফাইন টাইটেল ধারনকারী সউদী ওয়াহাবী বাদশাহদের সাথে সন্ত্রাসী ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয়দের গোপন সখ্যতা ও মিত্রতা এবং বংশগত একতা? জ্বি হ্যা নি¤েœর তথ্য উপাত্তগুলোই সন্ত্রাসী ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের নিকৃষ্ট দালাল হিসেবে সউদী ওয়াহাবী বাদশাহদের গোমঁর ফাঁস করেছে।

সউদ বংশের উৎপত্তি ও পরিচয় প্রসঙ্গে:-
ইতিহাসবিদগণ বর্ণনা করেছে, বর্তমানের সউদী ওয়াহাবী শাসক গোষ্ঠীর আবির্ভাব ‘আনজা গোত্র’ থেকে যারা ১৪৫০ সালে নজদ প্রদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। অধিকাংশ ইতিহাসবিদগণের মতে, সউদী ওয়াহাবী শাসকগোষ্ঠির  সেই পূর্বপুরুষের উৎপত্তি ছিলো গজবপ্রাপ্ত ইহুদীদের থেকে।
এদের পূর্বপুরুষ যে ইহুদী ধর্মীয় ছিল তা নিশ্চিত করে সউদী বাদশাহ ফয়সাল (শাসনকাল ১৯৬৪-৭৫) ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে (১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) এক সাক্ষাতকারে বলেছে, “আমরা সউদ পরিবার হচ্ছি ইহুদীদের চাচাতো ভাই। আর তাই আমরা যে কোন আরব বা মুসলিম শাসকদের সাথে সম্পূর্ণরূপে ভিন্নমত পোষন করব ইহুদীদের সাথে কোনরূপ শত্রুতার ব্যাপারে। আমরা চাই তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে।” নাউযুবিল্লাহ!
যার কারণে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন সউদ পরিবার ইসরাইলি ও আমেরিকার ভাড়াটে সৈন্য নামক সন্ত্রাসীদেরকেই তাদের একান্ত দেহরক্ষী হিসেবে বেশি পছন্দ করে। পাশাপাশি এই ইহুদী সম্পৃক্ততার কারণেই তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী বাতিল আক্বীদা ও আমল তথা ওয়াহাবী মতবাদকে, ক্ষতি করছে মুসলিম উম্মাহর  সত্যিকারের আক্বিদা, আমল ও ইসলামী ঐহিত্যকে।

ইহুদীদের সাথে গোপন চুক্তি ও মুসলিম ভূমি বিক্রি:-
ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলিদের দ্বারা ফিলিস্তিনে অবলিলায় একের পর এক মুসলিম গণহত্যা চললেও সউদী শাসকগণ যে এর বিরুদ্ধে টু শব্দটি পযন্ত করে না তার মূল কারণ হলো মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত ‘ইহুদীদের সাথে গোপন চুক্তি’। এই চুক্তি অনুসারে মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি ইহুদীদের কাছে বিক্রি করে দেয় সউদী ওয়াহাবী বিশ্বাসঘাতকরা। উল্লেখ্য, সউদী ওয়াহাবী বাদশাহ’র নিজ হস্তে স্বাক্ষরকৃত ঐ চুক্তির দলিলের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গতবছর মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে যায়, যা তোলপাড় সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্বে।  (বিষয়টি নিয়ে প্রেসটিভি অনলাইন রিপোর্ট করে ২রা নভেম্বর, ২০১১) ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি কঠিনভাবে সেন্সর করে নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়। কিন্ত অতি সম্প্রতি সেটি অনেক মুসলিম ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং গনমাধ্যমের নিকট হস্তগত হয়। এই লিখিত চুক্তিতে ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইহুদীদের নির্বিঘœ প্রবেশ ঘটাতে এবং ক্ষমতা খাটাতে সেই সময়কার কথিত সুপার পাওয়ার ব্রিটেনের সাথে সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সেই সময়কার ওয়াহাবী শাসক আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল’র মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়।

গোপন কালো চুক্তির স্ক্যান কপি:- আরবীতে লিখিত সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল এর নিজ হস্তে স্বাক্ষরকৃত সেই অঙ্গীকারনামা
সহজ বাংলা অনুবার্দ: “আমি সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল - আমি গ্রেট ব্রিটেনের ডেলিগেট স্যার পার্সি কক্সের কাছে হাজার বার মেনে নিলাম ও অঙ্গিকার করলাম যে, গরীব ইহুদী এমনকি অইহুদীদের (মুশরিক খ্রিষ্টান সমজাতিদের) কাছেও প্যালেস্টাইন হস্তান্তরে আমার কোন বিরোধিতা নেই এবং আমি কখনও তাঁদের (ব্রিটেনের) আদেশ অমান্য করব না।” নাউযুবিল্লাহ!
এই কালো চুক্তির কারণেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের দখলদারিত্ব ও নৃশংস গণহত্যায় কোন প্রকার বাধা দেয়নি ক্ষমতাসীন ওয়াহবী সউদ পরিবারের শাসকরা। ১৯৪৮ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধে লোক দেখানোর জন্য সামান্য সৈন্য পাঠালেও ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে আরবদের পক্ষে কোন প্রকার সামরিক সাহায্য করেনি তারা। ২০০৮ এর ডিসেম্বরে যখন সন্ত্রাসী ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয় ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনে ব্যাপক গণহত্যা আরম্ভ করে, তখন সউদী ওয়াহাবী বাদশাহদের বোবা শয়তানের ন্যায় নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে সারাবিশ্বে। সেই নিন্দা প্রতিবাদ এখন গোপন কালো চুক্তি ফাসেঁর কারনে বিশ্ব মুসলিম মানসে জেগে উঠেছে ঈমানদীপ্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার উত্তাল জোয়ার। দিকে দিকে তাকবীর হচ্ছে- ওয়াহাবীবাদ ইহুদীবাদ, নিপাত যাক নিপাত যাক! দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ, বিশ্ব মুসলিম জিন্দাবাদ, মুজাদ্দিদ আযম জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ!


http://www.al-ihsan.net

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন

এক নজরে তাবলীগী কুফরী এবং জওয়াব।

তাবলীগ কাহনসহ হাক্বীকত।

 বি:দ্র: ব্লগ ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ পোষ্ট। আমার জানা মতে। দয়া করে ধৈর্য্য হারাবেন না। পড়ুন  এবং শেয়ার করুন, রেফারেন্সের জন্য সেভ করুন।

Please Follow This Link :

http://www.shobujbanglablog.net/3672.html 

and also check this Link :

http://www.shobujbanglablog.net/3141.html   

 

http://www.al-ihsan.net

 

 

দেওবন্দীগং রা চরম শ্রেনীর কাফির । তাদের কিছু ভয়ংকর আক্বীদা নিম্নে দেয়া হলো।

shobuj bangla blog

দেওবন্দীদের কথিত মুরব্বীদের কিছু আক্বীদা দেখুন।

(১) আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া , ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৯।
রশিদ আহমদ গাংগুহী, তালিফাত রশিদিয়া, কিতাবুল আক্বাইদ অধ্যায়, পৃষ্ঠা ৯৮।
খলীল আহমদ আম্বেটী, তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫।
মেহমুদ হাসান, আল-জিহাদুল মুগিল, পৃষ্ঠা ৪১।
(২) আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে তা আগে থেকে বলতে পারেন না। বান্দা কর্ম সম্পাদনের পর আল্লাহ্‌ তা জানতে পারেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮।
(৩) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস্‌ সালাম-এর জ্ঞান বেশী। (নাঊযুবিল্লাহ)
খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৫১।
(৪) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ভাগ্য সম্পর্কে জানতেন না এমনকি দেয়ালের ওপাশ সম্পর্কেও না। (নাঊযুবিল্লাহ)
খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৫১।
(৫) নবীর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে তাঁর বিশেষত্ব কী ? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
আশরাফ আলী থানভী, হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৭।
(৬) “রহ্‌মতুল্লিল আলামিন” হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন বিশেষ লক্বব নয়। তাঁর উম্মতও “রহ্‌মতুল্লিল আলামিন” হতে পারে। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১২।
(৭) সাধারণ মানুষের কাছে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাতামুন নাবিয়্যীন হলেও বুযুর্গ ব্যক্তির কাছে নয়। (নাঊযুবিল্লাহ)
কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা ৩।
(৮) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোন ফযিলত নেই। ফযিলত হলো মুল নবী হওয়ার মধ্যে। তাঁর পরে যদি এক হাজার নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয় তাতেও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খতমে নবুয়তের কোন রূপ বেশ-কম হবে না। (নাঊযুবিল্লাহ)
কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা ২৫।
(৯) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেওবন্দের উলেমাদের কাছ থেকে উর্দূ ভাষা শিখেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
খলীল আহমদ আম্বটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ২৬।
(১০) একজন নবীর জন্য সকল মিথ্যা থেকে মুক্ত ও নিস্পাপ হওয়ার প্রয়োজন নেই। (নাঊযুবিল্লাহ)
কাশেম নানুতুবী, শফীয়াতুল আক্বাইদ, পৃষ্ঠা ২৫।
(১১ ) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাগুদ (শয়তান) বলা যায়। (নাঊযুবিল্লাহ)
হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৪৩।
(১২) আমলের মাধ্যমে নবী-রসূলের চেয়ে নবী-রসূলগণের উম্মত মর্যাদাবান হয়। (নাঊযুবিল্লাহ)
কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা ৫।
(১৩) আমি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পুলসিরাত থেকে পড়া থেকে রক্ষা করেছি। (নাঊযুবিল্লাহ)
হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৮।
(১৪) কলেমা শরীফ-এ “লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহমাদুর রসূলুল্লাহ্‌” এর পরিবর্তে “লা ইলাহা ইল্লালাহু আশরাফ আলী রসূলুল্লাহ্‌” এবং দরূদ শরীফ-এ “আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা মুহম্মদ” এর পরিবর্তে “আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা আশরাফ আলী” পড়লে কোন ক্ষতি হবে না। (নাঊযুবিল্লাহ)
আশরাফ আলী থানভী, রিসালা আল ইমদাদ, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫।
(১৫) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ (জম্মদিন) উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা আর হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণের জম্ম দিন পালন করা একই। (নাঊযুবিল্লাহ)
খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ১৪৮।
(১৬) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর বিশেষত্ব দাজ্জালের মত। (নাঊযুবিল্লাহ)
কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯।
(১৭) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বড় ভাই এবং আমরা তাঁর ছোট ভাই। (নাঊযুবিল্লাহ)
খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৩।
(১৮) দরূদ তাজ মূল্যহীন এবং এটি পাঠ করা নিষিদ্ধ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী্,‌ তাজকীরাতুর রশীদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১১৭।
জাকারিয়া কান্দালভী দেওবন্দী, ফাজায়েলে আমল, পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।
(১৯) মীলাদ শরীফ, মীরাজ শরীফ, ফাতিহা খাওয়ানী, চেহলাম, সোয়েম এবং ঈছালে সওয়াব সমস্ত আমল শরীয়ত বিরোধী, বিদায়ত এবং কাফের-হিন্দুদের রেওয়াজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৪ এবং ১৫০।
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪।
(২০) স্থানীয় কাক খাওয়া সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৩০।
(২১) হোলী ও দিওয়ালীর ভোগ খাওয়া এবং উপহার গ্রহণ করা সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১২৩।
(২২) হিন্দুদের সুদের টাকা দ্বারা নির্মিত পানির চৌবাচ্চা (সাবীল) থেকে পানি পান করা জায়িয ও অধিক সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪।
(২৩) রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া
(২৪) কোন কিছু ঘটানোর জন্য হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইচ্ছা পোষণ করার গুরুত্ব নেই। (নাঊযুবিল্লাহ)
কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯।
(২৫) নবী-রসূলদের মোজেজার চেয়ে যাদুকরদের যাদু সর্বোকৃষ্ট হতে পারে। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী ,ফতওয়া রশিদিয়া , ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৫।
(২৬) যে বলবে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজির-নাযির সে কাফির। (নাঊযুবিল্লাহ)
গোলামুল্লাহ খান, যাওয়াহিরুল কোরান।
(২৭) “ইয়া রসূলুল্লাহ” বাক্যটি কফুরী কালেমা। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া।

 এদেরকে ইবলিশের চেয়ে বড় কাফির বলতে হবে। 
 http://www.al-ihsan.net

তাবলীগ জামাতের জন্য বিস্ফোরন পোষ্ট…..গাট্টিওয়ালাদের নতুন নাম দিলাম ‘গাধা’

সাহাবী আবূ সাইদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রসুলেপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমার বিদায়ের পর শেষ যামানায় আমার উম্মতের মধ্য হতে পূর্বের কোন দেশ থেকে একটি জামাআত তাবলীগ নামে বের হবে, তারা কুরআন শরীফ পাঠ করবে, তাদের কুরআন শরীফ পাঠ তোমাদের পাঠের তুলনায় খুবই সুন্দর হবে। কুরআন শরীফের প্রতি বাহ্যত তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা দেখে মনে হবে যেন ওরা কুরআন শরীফের জন্য কুরআন শরীফ ওদের জন্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওরা কুরআন শরীফের প্রতিটি আয়াতের উপরে ঈমান রাখবে না এবং কুরআন শরীফের কঠিন নির্দেশের উপর আমল করবে না।
এই জামা'আতের অধিকাংশ লোক হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। যেমন কুরআন শরীফের ও হাদীস শরীফের জ্ঞানে হবে মূর্খ তেমন সাধারণ জ্ঞানেও হবে মূর্খ। এই জামাআতে যদি কোন শিক্ষিত লোক যোগদান করে তাহলে তার আচরণ ও স্বভাব হয়ে যাবে জামাআতে যোগদানকারী অন্যান্য মূর্খের মত। মূর্খরা যেমন মূর্খতার আনুগত্য করবে তেমনি শিক্ষিত লোকটিও মূর্খদেরই আনুগত্য করবে। এই জামা'আতের বয়ান ও বক্তৃতায় থাকবে কেবল ফযিলাতের বয়ান। বিভিন্ন আমলে সর্বোচ্চ ফযিলাতের প্রমাণহীন বর্ণনাই হবে তাদের বয়ানের বিষয়বস্তু।
হে মুসলমানগণ ! ঐ জামা'আতের লোকদের নামায, রোযা অন্যান্য আমল এতই সুন্দর হবে যে, তোমরা তোমাদের নামায, রোযা ও আমল সমূহকে তাদের তুলনায় তুচ্ছ মনে করবে। এই জামা'আতের লোকেরা সাধারণ মানুষকে কুরআন শরীফের পথে তথা দ্বীনের পথে চলার নামে ডাকবে, কিন্তু তারা চলবে তাদের তৈরী করা পথে, ডাকলেও তারা কুরআনের পথে চলবে না।
তাদের ওয়াজ ও বয়ান হবে মধুর মত মিষ্টি, ব্যবহার হবে চিনির মত সুস্বাদু, তাদের ভাষা হবে সকল মিষ্টির চাইতে মিষ্টি। তাদের পোশাক পরিচ্ছদ ধারণ-ধরণ হবে খুবই আকর্ষণীয়, যেমন সুন্দর হরিণ তার হরিণির পিছনে যেমন ছুটতে থাকে তেমন সাধারণ মানুষ তাদের মিষ্ট ব্যবহার, আমলের প্রদর্শনী ও সুমধুর ওয়াজ শুনে তাদের জামা'আতের দিকে ছুটতে থাকবে।
তাদের অন্তর হবে ব্যাঘ্রের মত হিংস্র। বাঘের অন্তরে যেমন কোন পশুর চিৎকার মমতা প্রকাশ করে না, তেমন কুরআন ও হাদীসের বাণী যতই মধুর হোক তাদের অন্তরে প্রবেশ করবে না। তাদের কথাবার্তা আমল আচরণ, বয়ান যেগুলি তারা তাদের জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তার-ভিতরকার কুরআন সুন্নাহ বিরোধী আমলগুলি বর্জন করে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক আমল করার জন্য যতবার কেউ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ প্রদর্শন করুক বাঘের অন্তরে যেমন মমতা প্রবেশ করে না তেমন তাদের অন্তরে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ প্রবেশ করবে না।
তাদের জামা'আতে প্রবেশ করার পর তাদের মিষ্টি ব্যবহারে মানুষ হবে মুগ্ধ, কিন্তু ঐ মনোমুগ্ধ ব্যবহারের পেছনে জীবন ধ্বংসকারী, ঈমান বিনষ্টকারী, ইসলামী মুল্যবোধ বিনষ্টকারী মারাত্মক বিষ বিরাজমান থাকবে। তাদের প্রশিক্ষন ধীরে ধীরে মানুষের অন্তর হতে মহান আল্লাহপাক ও রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি আনুগত্যের প্রেরণা শেষ করে দেবে এবং জামা'আতের আমীরদের আনুগত্যের প্রতি মরণপণ আকৃষ্ট করবে। আমীরগণ দেখতে হবে খাঁটি পরহেজগার দ্বীনদার ব্যক্তিদের মত, কিন্তু তার অন্তর হবে শয়তানের মত, কুরআন শরীফের ও সুন্নাহ শরীফের প্রতি বিদ্রোহী। আমীরগণ যা করে যাচ্ছে তার মধ্যে কুরআনশরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন কাজ কখনো কেউ ধরিয়ে দিলে কোনক্রমেই তা পরিবর্তন করতে প্রস্তুত হবে না। অর্থাৎ কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ উপস্থাপন করার পর তারা কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ দেখেও কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ বর্জন করে মুরব্বীদের কথা মানবে। কুরআন শরীফ হাদীস শরীফের প্রতি তাদের অনীহা এতই তীব্র হবে যে, তারা অর্থসহ কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ কখনই পড়বে না, পড়ানোও যাবে না।
এই জামা'আতটি ইসলামের তাবলীগ করার কথা যতই বলুক কুরআন শরীফ যত সুন্দরই পাঠ করুক, নামা রোযা যতই সুন্দর হোক, আমল যতই চমৎকার হোক, মূলতঃ ঐ জামা'আতটি ইসলাম হতে বহির্ভূত হবে।
সাহাবা ই কিরামগণ বললেন,ইয়া রাসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ দলটি চিনবার সহজ উপায় কি হবে? আমাদিগকে জানিয়ে দিন।
রাসুলেপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এই ইসলাম বহির্ভূত জামা'আতটি চিনবার সহজ উপায় হল-
১) তারা যখন তালীমে বসবে, গোল হয়ে বসবে।
২) অল্প সময়ের মধ্যে এই জামা'আতের লোকসংখ্যা খুব বেশী হবে।
৩) এই জামা'আতের আমীর ও মুরব্বীদের মাথা নেড়া হবে। তারা মাথা কামিয়ে ফেলবে।
তীর মারলে ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। ঐ তীর আর কখনও ধনুকের দিকে ফিরে আসে না, তেমন যারা এই জামা'আতে যোগদান করবে তারা কখনও আর দ্বীনের দিকে ফিরে আসবে না। অর্থাৎ এই জামা'আতকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ যত দেখানো হোক, যত চেষ্টাই করা হোক না কেন দলটি দ্বীনের পথে ফিরে আসবে না। এদের সাথে তোমাদের যেখানেই স্বাক্ষাত হোক, সংগ্রাম হবে তোমাদের অনিবার্য। এই সংগ্রাম যদি কখনও যুদ্ধে পরিণত হয় তাহলে তা থেকেও পিছ পা হবে না।
এই সংগ্রামে বা যুদ্ধে যারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদেরকে যে পুরষ্কার আল্লাহ দান করবেন তা অন্য কোন নেক কাজে দান করবেন না।
(বুখারী, আরবী দিল্লীঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২৪, ১১২৮, মুয়াত্তা ইমামা মালেক, আরবী ১ম খন্ড, পৃঃ ১৩৮, আবূ দাউদ, আরবী দিল্লী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৬৫৬, তিরমিযী, মিশকাত, আরবী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৫৫, মুসলিম,মিশকাত, আরবী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৬২)
হাদীস সমূহের বর্ণনাকারী হলেন আবূ সাঈদ খুদরী, আলী, আবূ হুরায়রা, আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ)। (দেখুন সহীহ আল বুখারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৬৪৪৯, ৬৪৫০, ৬৪৫২, ৭০৪১ (আ.প্র.), বাংলা অনুবাদ মুয়াত্তা মালেকঃ ই.ফা. ১ম খন্ড, হাঃ নং- ৫৭৮)
 

হাদীছ শরীফ- তা ছিহাহ সিত্তাহ’র হোক অথবা অন্য কোন কিতাবের হোক তা অবশ্যই অনুসরণীয় ও গ্রহণযোগ্য-

অনেকে কোন বিষয় গ্রহন করা বা মানার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কুরআন শরীফ কিংবা বুখারী শরীফ অথবা ছিহাহ সিত্তাহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাবের দলীল তলব করে থাকে। তারা মনে করে থাকে, এসব কিতাবের মধ্যে থাকলে তা গ্রহনযোগ্য; অন্যথায় তা গ্রহনযোগ্য নয়। অথচ শরীয়তের দলীল হলো, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস। শুধু কুরআন শরীফ ও ছিহাহ সিত্তাহ বা বুখারী শরীফ শরীয়তের দলীল নয়। কেউ প্রমান করতে সক্ষম হবে না যে, শরীয়তের কোথাও ছিহাহ সিত্তাহ বা বুখারী শরীফকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। বরং বলা হয়েছে, কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফকে অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং, হাদীছ শরীফ- তা ছিহাহ সিত্তাহ’র হোক অথবা অন্য কোন কিতাবের হোক তা অবশ্যই অনুসরণীয় ও গ্রহণযোগ্য। কারণ শুধু ছিহাহ সিত্তাহই হাদীছ শরীফ-এর কিতাব নয়। ছিহাহ সিত্তাহ’র বাইরেও বহু হাদীছ শরীফ-এর কিতাব রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনুস সালাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ বিখ্যাত মুহাদ্দিছ উনারা বলেন যে, ছিহাহ সিত্তাহ ছাড়াও ৫০-এর অধিক ছহীহ বা বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ-এর কিতাব রয়েছে। নিম্নে ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর ন্যায় কতকগুলো ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাবের নাম উল্লেখ করা হলো। যেমন-
(১) ছহীহ ইবনে খুযায়মা,
(২) ছহীহ ইবনে হাব্বান,
(৩) ছহীহ ইবনে উয়ায়না,
(৪) ছহীহ ইবনুস সাকান,
(৫) ছহীহ মুন্তাকা,
(৬) মুখতাসারেজিয়াহ,
(৭) ছহীহ যুরকানী,
(৮) ছহীহ ইসফেহানী,
(৯) ছহীহ ইসমাঈলী,
(১০) মুস্তাদরাক ইবনে হাকিম,
(১১) মুসনাদে ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(১২) মুয়াত্তায়ে ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(১৩) মুয়াত্তায়ে ইমাম মুহম্মদ,
(১৪) কিতাবুল আছার,
(১৫) কিতাবুল খিরাজ,
(১৬) কিতাবুল হিজাজ,
(১৭) কিতাবুল আ’মালী,
(১৮) মুসনাদে শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(১৯) মুসনাদে আবূ ইয়ালী,
(২০) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক,
(২২) মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমায়িদ,
(২৩) মুসনাদে আবূ দাউদ তায়ালাসী,
(২৪) সুনানু দারে কুতনী,
(২৫) সুনানে দারিমী,
(২৬) সুনানে বায়হাক্বী,
(২৭) মা’রিফাতু সুনানে বায়হাক্বী,
(২৮) মা’য়ানিয়ুল আছার-তহাবী,
(২৯) মুশফিক্বিয়ুল আছার-তহাবী,
(৩০) মু’জামুল কবীর-তিবরানী,
(৩১) মু’জামুল আওসাত-তিবরানী,
(৩২) মু’জামুছ ছগীর-তিবরানী,
(৩৩) কিতাবুল ই’তিক্বাদ,
(৩৪) কিতাবুদ্ দোয়া,
(৩৫) মুসনাদে হারিস ইবনে উমামা,
(৩৬) মুসনাদে বাজ্জাজ,
(৩৭) সুনানে আবী মুসলিম,
(৩৮) সুনানে সাঈদ বিন মনছূর,
(৩৯) শরহুস্ সুন্নাহ,
(৪০) শিফা,
(৪১) হুলইয়া,
(৪২) তাহযীবুল আছার,
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, ছিহাহ সিত্তাহর বাইরেও বহু ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাব রয়েছে। তাছাড়া ছিহাহ সিত্তাহর সকল হাদীছ শরীফই ছহীহ নয় বরং তাতে দ্বয়ীফ এমনকি মওজূ হাদীছ শরীফও রয়েছে।


http://www.al-ihsan.net

Wednesday 5 December 2012

ছাহিবুল মদীনাহ, ছাহিবুল মক্কাহ, ছাহিবুল হাত্বীম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমস্ত ইল্‌মের অধিকারী ॥ সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখন তাঁর মু’জিযা ॥ তিনি মুয়াল্লিম হিসেবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে আক্ষরিক জ্ঞান শিক্ষা দিতেন।

“যিনি (আল্লাহ পাক) কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন।” (সূরা আলাক্ব/৪) অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বয়ং আল্লাহ পাক লিখার যাবতীয় ইল্‌ম দিয়েই সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ পাক অন্যত্র ইরশাদ করেন, তিনি (আল্লাহ পাক) ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন এবং বয়ান শিক্ষা দিয়েছেন।” (সূরা আর রহ্‌মান/২, ৩)
এখানে ‘বয়ান’ এর তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সৃষ্টি হয়েছে এবং হবে। অর্থাৎ পূর্ব ও পরবর্তী সব ঘটনার জ্ঞান। (তাফসীরে মা’আলিমুত তানযীল)
অর্থাৎ আয়াত শরীফ-এর অর্থ হচ্ছে- আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁকে সমস্ত কিছুর জ্ঞান দান করেছেন।


যেমন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জ্ঞান দান করা হয়েছে
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, ছাহিবে ছলাত ও সালাম, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমাকে (শুরু হতে শেষ পর্যন্ত) সমস্ত ইল্‌ম প্রদান করা হয়েছে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)


অতএব, প্রমাণিত হলো যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইল্‌মের অধিকারী। আর লিখাও হচ্ছে ইল্‌মের একটা অংশ। লিখা যে ইল্‌মের অংশ তা সূরা ‘আলাক্ব’-এর ৪ নম্বর আয়াত-এর ‘আল্লামা বিল ক্বলাম’ ‘তিনি (আল্লাহ পাক) তাঁেক কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন’, এ আয়াত শরীফ দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। কারণ ‘আল্লামা’ শব্দটির মাছদার বা ক্রিয়ামূল হচ্ছে ‘তা’লীম’ বা শিক্ষা দেয়া। অতএব, স্বয়ং আল্লাহ পাক যাকে লিখার উপকরণ তথা কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন তিনি লিখতে জানতেন না বা লিখতে পারতেন না এ ধারণা পোষণ করা মিথ্যা তোহমত ও কুফরীর নামান্তর।


মূলতঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবশ্যই লিখতে জানতেন। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সামনে (ওহী) লিখতেন, অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে অক্ষর লিখার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়ে ইরশাদ করেন, দোয়াত এভাবে রাখ, কলম এভাবে ঘুরাও, ‘বা’কে এভাবে সোজা করে লিখ, ‘সীন’কে পৃথক কর, আর ‘মীম’কে বাঁকা করোনা, অথচ তিনি দুনিয়াবী কোন কাতিবের (লিখকের)-এর নিকট থেকে লিখা শিখেননি, আর কোন প্রাচীনকালীন কিতাব থেকেও তা পড়েননি।” (সুবহানাল্লাহি বিহামদিহী)
উল্লেখ্য, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লিখার প্রয়োজন হতো না। কারণ মানুষ লিখে থাকে এজন্য যে, লিখে না রাখলে ভুলে যাবে। কিন্তু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লিখার প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি সমস্ত কিছুই জানতেন এবং উনাকে সমস্ত ইল্‌ম দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি আল্লাহ পাক-এর কায়িম-মুক্বাম অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর যেমন লিখার প্রয়োজন নেই। তেমনি হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও প্রয়োজন নেই। আর তাঁর মুয়াল্লিম স্বয়ং আল্লাহ পাক। সুতরাং তাঁর লিখা-পড়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। আর তিনি যদি লিখা-পড়া করতেন তাহলে বাতিলপন্থীরা সন্দেহ করতো।


যেমন, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আবির্ভাবের পরিচয় দেয়া ছিল কয়েকটি। যেমন, তিনি হবেন ‘উম্মী’ (অর্থাৎ নবীগণের মূল হবেন) এবং সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখবেন কিন্তু পার্থিব ওস্তাদের কাছে লিখা-পড়া করবেন না। কোন বই-পুস্তক পড়বেন না।
যেমন, এ সম্পর্কে কুরআন শরীফে ইরশাদ হচ্ছে, “এর পূর্বে (নুবুওওয়াত প্রকাশের পূর্বে) হে হাবীব (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি না কোন কিতাব পড়তেন এবং না নিজ হাতে কোন কিছু লিখতেন, যদি তা করতেন, তবে বাতিলপন্থীরা নিশ্চয়ই সন্দেহ করতো (যে এটা আল্লাহ পাক-এর বাণী নয়, আপনার রচিত কোন কিতাব)।” (সূরা আনকাবুত/৪৮)


আর তিনি যে লিখতে জানতেন এ প্রসঙ্গে “ছহীহ বুখারী শরীফ”-এর ‘কিতাবুল ইল্‌ম’-এর ‘বাবু কিতাবাতিল ইল্‌মে’ অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অসুস্থতা বৃদ্ধি পেল। তখন তিনি উপস্থিত ছাহাবীদের বললেন, তোমরা এক টুকরা কাগজ নিয়ে এস। আমি তোমাদের জন্য কতিপয় উপদেশ লিখে দিব, যাতে তোমরা পরবর্তী কালে পথভ্রষ্ট হবে না।


হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “নবীয়ে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিলক্বদ মাসে ওমরাহ্‌ করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু মক্কাবাসী তাঁকে মক্কা শরীফে প্রবেশ করতে দিতে রাজী ছিলনা, যতক্ষণ না তিনি তাদের সাথে এ মর্মে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হন যে, তিনি সেখানে (মক্কা শরীফে) তিনদিনের অধিক অবস্থান করবেন না। অতঃপর যখন সন্ধিপত্র লিখার উপর ঐক্যমত হলো, তারা লিখলো ‘এতদ্বারা আল্লাহ পাক-এর হাবীব্‌ রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে সন্ধি করলেন।’ অতঃপর মক্কার কাফিররা বললো, আমরা এটা মানিনা, কারণ যদি আমরা আপনাকে আল্লাহ্‌র রসূল হিসেবে মেনে নিয়ে থাকি তাহলে আমরা আপনাকে তো কোন রকম বাঁধাও দিতাম না বরং আপনি হলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ”ইবনে আব্দুল্লাহ্‌ আলাইহিস সালাম। সুতরাং এটাই লিখতে হবে।” তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি আল্লাহ পাক-এর রসূল এবং আমিই হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম-এর পুত্র, তারপর তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, “রসুলুল্লাহ” শব্দটা কেটে দিন।”

হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু আরজ করলেন, না, আল্লাহ পাক-এর কসম! আমার পক্ষে (আল্লাহ্‌ পাক প্রদত্ত্ব) আপনার (গুণবাচক) নাম কাটা সম্ভব নয়। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত চুক্তিপত্র খানা হাতে নিলেন। তাঁর নিজ হাতে লিখার ইচ্ছা ছিলনা, তবুও সুন্দরভাবে লিখলেন, “এতদ্বারা চুক্তি করলেন মুহম্মদ ”ইবনে আব্দুল্লাহ্‌ আলাইহিস সালাম (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।”

http://www.al-ihsan.net